শেষ ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ১৪ রান। প্রথম ৩ বলে ৭ রান নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি। চতুর্থ বলটি সাকিব ওয়াইড দেয়ার পাশাপাশি তুলে নেন মুজারাবানির উইকেট। শেষ বলে তিনি বোল্ড করেন রিচার্ড এনগারাভাকে, অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ পায় ৫ রানের জয়। ১৩৮ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
টার্গেট দিয়ে শুরুতেই জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। ৩২ রানেই লাল সবুজের প্রতিনিধিরা তুলে নেয় ৩ উইকেট। ব্রায়ান বেনেত শূন্য রানে ফেরার পর সিকান্দার রাজা ১০ বলে ১৭ রান করে আউট হন। মারুমানি ১৩ বলে ১৪ রান করে সাকিবের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন। ক্লাইভ মাদানদে ১২ রান করে রিশাদ হোসেনের শিকারে পরিণত হন। তখন ৪ উইকেটে জিম্বাবুয়ের রান ৫৭।
ক্যাম্পবেল ও বার্ল মিলে দলের হাল ধরেন। দুজনে মিলে গড়েন ৩৫ রানের জুটি। একই ওভারে বার্ল ও লুক জংউইকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। বার্ল ২০ বলে ১৯ ও জংউই ১ রান করেন। ক্যাম্পবেল আউট হন ২৭ বলে ৩১ রান করে। তাকে ১১ রান করে সঙ্গ ফারাজ আকরাম। এরপর জিম্বাবুয়ের ভাগ্য নির্ভর করছিল ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ওপর। কিন্তু তিনি দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি।
এর আগে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে বাংলাদেশ। অথচ সৌম্য সরকারকে একপাশে রেখে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। নিজে ফিফটি করার পাশাপাশি গড়েন শত রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর আউট হন তামিম, খেই হারায় বাংলাদেশও। নিজে ৫২ রান করে দলীয় ১০১ রানে আউট হয়েছিলেন তামিম। তার ৩৭ বলের ইনিংসে আছে ৭টি চার ১টি ছয়ের মার।
তামিম আউট হওয়ার পর শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল। সৌম্য সরকার ৩৪ বলে ৪১ রান করে লুক জংউইয়ের বলে এলবিডব্লিউ হন। প্রতিদিনের মতো তাওহীদ হৃদয় আক্রমণাত্মক মেজাজেই ব্যাট করতে শুরু করেন। কিন্তু ৮ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন সিকান্দার রাজার ওভারে। তখন দলীয় রান ১২১।
সাকিব আল হাসানের দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরাটা সুখকর হয়নি। ৩ বলে ১ রান করে ব্রায়ান বেনেতের শিকারে পরিণত হন তিনি। ওই ওভারেই বেনেতের শিকার হন নাজমুল। এ সিরিজ জুড়েই ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা নাজমুল ৭ বলে করেন মাত্র ২ রান। এরপর জাকের আলি অনিক, তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন দাঁড়াতেই পারেননি। রিশাদ আউট হওয়ার সময় স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১৩২।
তানজিম হাসান সাকিব এর আগে অনেক ম্যাচেই ক্যামিও খেলার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। কিন্তু এদিন ৫ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মুস্তাফিজুর রহমান।