নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হবে আগামী ৩ জুলাই। এ জন্য সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পাঠানো হয়েছে। এতে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এই নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষাণ্মাসিক সামষ্টিক কার্যক্রমের প্রস্তুতির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক নির্দেশনার চিঠিটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হলো।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সাধারণ নির্দেশনায় বলা হয়েছে–
১) জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর আলোকে আগামী ৩ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার সময়সূচি এবং বিষয়ভিত্তিক সর্বশেষ কোন অভিজ্ঞতা বা অধ্যায় পর্যন্ত ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের আওতায় আসবে তা ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
২) ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরুর আগেই অর্থাৎ আগামী ৩ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পাদিত সব বিষয়ের শিখন অভিজ্ঞতার পারদর্শিতার নির্দেশকগুলো নৈপুণ্য অ্যাপে ইনপুট দিতে হবে।
৩) মূল্যায়ন কার্যক্রম চলাকালীন অর্থাৎ ৩ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত নির্দিষ্ট দিবসে মূল্যায়ন কার্যক্রম ব্যতীত ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির কোনো শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
৪) পাঠানো সময়সূচি অনুসারে নির্ধারিত দিনে একটি বিষয়েরই মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ নির্ধারিত বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রম নির্ধারিত দিনেই শেষ করতে হবে। আগের মতো কোনো শ্রেণির একটি বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রম একাধিক দিনে করা যাবে না।
৫) বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন কার্যক্রম নির্ধারিত দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তবে মূল্যায়ন কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে একটি মধ্যবর্তী বিরতি দেয়া যেতে পারে।
৬) মূল্যায়ন কার্যক্রমে হাতে-কলমে কাজ এবং কার্যক্রমভিত্তিক লিখিত অংশ দুই ধরনের কার্যক্রম আছে। হাতে-কলমে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং লিখিত অংশের জন্য প্রয়োজনীয় খাতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করতে হবে।
৭) বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়নে উপকরণে বৈচিত্র্য রয়েছে যা বিস্তারিত মূল্যায়ন নির্দেশিকায় উল্লেখ করা থাকবে। মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উপকরণ সরবরাহের জন্য সাধারণ নির্দেশনায় বলা হয়েছে: মূল্যায়ন কার্যক্রম হাতে-কলমে কাজের মধ্যে রয়েছে, শিক্ষার্থী সংখ্যা বিবেচনায় পোস্টার তৈরির জন্য সাদা বা রঙিন কাগজ, সাইন পেন, কাঁচি, আঠা বা গাম ইত্যাদি। লিখিত অংশে বলা হয়েছে: ১৬ পাতার খাতা, প্রয়োজনে অতিরিক্ত পাতা সরবরাহ করতে হবে। মূল্যায়নপত্র অংশে বলা হয়েছে: সরবরাহ করা মূল্যায়নপত্র থেকে শিক্ষার্থীর নির্দেশনা ও মূল্যায়ন-প্রশ্নপত্র অংশটি ফটোকপি করে সব শিক্ষার্থীকে সরবরাহ করতে হবে।
৮) উপকরণ সরবরাহের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোনো উপকরণই যেন ব্যয়বহুল না হয়। রিসাইকেল, রিউইজ, আপসাইকেল উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।
৯) অভিভাবক বা শিক্ষার্থীকে উপকরণ সরবরাহের জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়া যাবে না।
১০) মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছ থেকে সীমিত পরিমাণে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা ফি নেয়া যেতে পারে।
১১) মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরুর আগের দিন নৈপুণ্য অ্যাপের প্রতিষ্ঠান ড্যাশবোর্ড (master.noipunno.gov.bd) এবং সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
১২) বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশনা মূল্যায়ন কার্যক্রমের সময়সূচি অনুসারে নির্ধারিত দিনের আগের দিন পাওয়া যাবে। মূল্যায়ন নির্দেশনায় শিক্ষকের জন্য করণীয়, শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয়, মূল্যায়নপত্র, শিক্ষকের জন্য পর্যবেক্ষণ চেক লিস্ট এবং মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক উপকরণের বিবরণ থাকবে।
১৩) ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা শেষে শিক্ষার্থীর অর্জিত পারদর্শিতার রেকর্ডের ভিত্তিতে নৈপুণ্য অ্যাপে পারদর্শিতার নির্দেশক (পিআই) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইনপুট দিতে হবে।