শুক্রবার (১০ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদ্রাসার পুস্তকে ছেলে-মেয়েদের অবাধ চলাফেরা দেখানো হয়েছে। মা-বাবার দ্বীনি পরিবেশ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে কৃষি শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। গার্হস্থ্য শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। এখন শিল্প-সংস্কৃতির মধ্যে ঢোল-তবলা দেয়া হয়েছে। এটা শিল্পকলার কাজ, জাতীয় কারিকুলামে এটা হতে পারে না। মুসলিম সন্তানদের একত্রে নাচতে-গাইতে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের বন্ধুদের হাত ধরে চলতে শিক্ষা দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশকে ব্যারিকেড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে বলাৎকার ও সমকামী করা হচ্ছে। আবুল ফজল ফয়েজীর গোষ্ঠী কিছু আলেম শরীফ-শরীফার গল্পকে বৈধতা দিয়েছে। লোভের কারণে শরীফ-শরীফার গল্পের মধ্যে ওই আলেমরা কোনো ত্রুটি দেখে না। আমাদের দাবি ছিল প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার। সে দাবি কর্ণপাত না করে ৫ হাজারের বেশি নাচ-গান শেখানোর টিচার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা ইসলামের কথা বললে সাম্প্রদায়িক হয়ে যাই। মুসলমানদের জন্য করা সলিমুল্লাহর ইউনিভার্সিটিতে নামাজ, ইফতার করতে আপত্তি থাকলেও মঙ্গলশোভা যাত্রা করতে কোনো আপত্তি নেই।