শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারা যে কোনো ধরনের অপকর্ম চালাতে পারে। তবে আওয়ামী লীগ সংঘাতে জড়াবে না। সবাইকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার আহ্বান জানাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে শান্তিপূর্ণ রেখেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ধান কাটার মৌসুম। আবার অনেক এলাকায় ঝড় তুফান হয়েছে। তাই ভোট কিছুটা কম পড়েছে। আমার প্রশ্ন, বিএনপির আমলে কোনো নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে?
তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের আহ্বানকে দলের নেতাকর্মীরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। দলটি যাদের বহিষ্কার করেছে তাদের মধ্যে অনেকেই নির্বাচিত হয়েছে। কারণ তাদের কোনো নেতাকর্মী দলের সিদ্ধান্ত মানে না।
ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কিছুই আদায় করতে পারবে না। যতদিন তারা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে না, ততদিন তারা জনবিচ্ছিন্ন হবেই বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এর ক্রেডিট নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগকে দেয়ার কথা জানালেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দুষ্টু ছেলে ইসরাইল এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশও মানে না। তারা জাতিসংঘকে পাত্তা দেয় না। ইসরাইল সারা বিশ্বের জন্য আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে। এই যুদ্ধ আরও ভয়াবহ হতে পারে। ক্ষমতার জন্য আজ বিএনপি এই যুদ্ধ নিয়ে কোন কথা বলে না।
দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আগামীকাল শনিবার (১১ মে) শান্তি উন্নয়ন সমাবেশ করবে। ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করা হবে। আর ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বড় কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে সবাইকে কর্মসূচির কথা জানিয়েছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ সিনিয়র নেতারা।